দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুপস্থিতির কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,
“কয়েক দিন আগে বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে এমন একটা আলোচনা দেখা গেল, দেশে বিনিয়োগের নহর বয়ে যাচ্ছে। পরে পত্রপত্রিকায় নিউজ হলো সব ভোগাস। বিদেশিরা বলছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবেন না।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন, তখনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি শোরুমেও হামলা-ভাঙচুর হয়েছে।
“বিদেশিরা এটা দেখে কখনো চাইবে না এখানে বিনিয়োগ করতে,” বলেন তিনি।
নুর আরও দাবি করেন, দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন নতুন কোনো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে ব্যবসায়ীকে পথে বসতে হবে। নিজ দেশের বিনিয়োগকারীরাই যখন নিরাপদ না, তখন বিদেশিরা কেন এখানে বিনিয়োগ করবেন?”
এ সময় নুরুল হক নুর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীদের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা অন্তত ১৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
“দ্বৈত নাগরিক থাকলে সে সংসদ সদস্যই হতে পারেন না। অথচ মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকা অনেকেই দ্বৈত নাগরিক। তারা স্বভাবতই পশ্চিমা দেশের প্রতি আনুগত্য দেখাবে,” বলেন তিনি।
নুরুল হকের এ বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।